Summary
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি শেখ মুজিবুর রহমান উপস্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এটি "ছয় লক্ষ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ"। ছয় দফা দাবির ভিত্তি হল লাহোর প্রস্তাব।
ছয় দফা দাবিসমূহ:
- ১ম দফা: শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
- ২য় দফা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
- ৩য় দফা: মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা।
- ৪র্থ দফা: কর বা রাজস্ব বিষয়ক ক্ষমতা।
- ৫ম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
- ৬ষ্ঠ দফা: আঞ্চলিক মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
ছয় দফা উত্থাপন করা হয় মোট ৩বার:
- প্রথম: ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬।
- দ্বিতীয়: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬।
- তৃতীয়: ২৩ মার্চ, ১৯৬৬।
এই ছয় দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা পূর্ব পাকিস্তানের ম্যাগনাকার্টা বলা হয়, এবং ৬ দফা দিবস পালিত হয় ৭ জুন।
ছয় দফার অর্থনীতি বিষয়ক দাবি ৩টি: ৩য়, ৪র্থ, ও ৫ম দফা।
১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি পেশ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে লাহোরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, ছয় লক্ষ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ছয়দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি
- ১ম দফাঃ শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
- ২য় দফাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
- ৩য় দফাঃ মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা।
- ৪র্থ দফাঃ কর বা রাজস্ব বিষয়ক ক্ষমতা।
- ৫ম দফাঃ বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
- ৬ষ্ঠ দফাঃ আঞ্চলিক মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
জেনে নিই
- ৬ দফা উত্থাপন করা হয় মোট ৩বার। উত্থাপনকারী- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
- প্রথমবার ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে লাহোরের বিরোধী দলীয় সম্মেলনে।
- দ্বিতীয়বার ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে।
- তৃতীয়বার ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করা হয় লাহোরে।
- বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা পূর্ব পাকিস্তানের ম্যাগনাকার্টা বলা হয়- ৬ দফাকে।
- ছয় দফা দিবস পালিত হয়ে আসছে- ৭ জুন।
- ছয় দফার অর্থনীতি বিষয়ক দাবি- ৩টি (৩য়, ৪র্থ, ৫ম)।